Our project is very closely situated and easily connected to the following list of key locations in the Purbachal area. Bellow some important premises for our project
View all Awardsপুরো বিশ্বে প্রতিটি দেশ ও শহরে এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেগুলোকে অভিজাত এলাকা বলা হয়। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরপুর ঢাকা শহর এর ব্যতিক্রম নয়। এ শহরেও এমন কিছু এলাকা আছে যেগুলো অনেক সাজানো-গোছানো এবং বসবাসের জন্য অধিক উপযোগী। সবার কাছে এগুলো ঢাকার অভিজাত এলাকাসমূহ হিসেবেই পরিচিত। এসব অভিজাত এলাকাসমূহ নিয়ে এ ব্লগে আলোচনা করা হচ্ছে। চলুন, ব্লগটি পড়ি এবং এ এলাকাগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
অভিজাত শব্দ দ্বারা সাধারণত সব দিকে বিবেচনায় এগিয়ে থাকা অবস্থান কে বুঝায়। যেসব এলাকা সামাজিক সুযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা ও বাসযোগ্যতার মান বিচারে দেশ বা শহরের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে সেসব এলাকাকে অভিজাত এলাকা বলা হয়।
সুযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা ও বাসযোগ্যতার মান বিচার ইত্যাদি কারণে যেগুলো ঢাকার অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত:
গুলশান ঢাকার অভিজাত এলাকাসমূহের মধ্যে অন্যতম। এখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক অফিস অবস্থিত। বিলাসবহুল অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিংমল এবং বিশ্বমানের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল গুলশানে অবস্থিত। এখানে চলাচলের জন্য রয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। বিনোদনের জন্য পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র। গুলশানে নির্মিত বাড়িগুলো অত্যন্ত চমকপ্রদ। এছাড়াও লেক ও সবুজ গাছপালা গুলশানের সৌন্দর্য অনেকগুণ বৃদ্ধি করেছে।
ঢাকার অভিজাত এলাকাসমূহের আরেকটি হল বারিধারা। এটি গুলশানের কাছেই অবস্থিত। বারিধারা কূটনৈতিক জোন হিসেবে পরিচিত। এখানেও কয়েকটি দেশের দূতাবাস রয়েছে। রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট ও নামীদামী অনেক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যে এ এলাকায় গড়ে উঠেছে রাজউক অনুমোদিত ও পরিকল্পিত অনেক আবাসন প্রকল্প, যা এ এলাকার আভিজাত্য দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে।
বারিধারা ও কুড়িল বিশ্বরোডের মাঝে অবস্থিত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। যমুনা ফিউচার পার্ক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা ও এভারকেয়ার হাসপাতাল অবস্থিত অভিজাত এ এলাকায়। বসুন্ধরা গ্রুপের কর্পোরেট অফিস, গ্রামীনফোনের প্রধান কার্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে এখানে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে সার্বক্ষণিক টহল এবং ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে গেলে দেখা মিলবে আরেক অভিজাত এলাকা উত্তরা মডেল টাউনের। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বিলাসবহুল শপিংমল এবং পরিকল্পিত বাসভবনসহ যা কিছু প্রয়োজন সবই রয়েছে এ এলাকায়। উত্তরা মডেল টাউনের সব সেক্টরেই রয়েছে খেলার মাঠ, চলাফেরার জন্য প্রশস্ত রাস্তা ও পার্ক। সবুজ গাছপালা দিয়ে সাজানো পুরো মডেল টাউন, যা স্থানীয়দের মানসিক অবস্থা সতেজ রাখে এবং এলাকার সৌন্দর্য যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলে।
ঢাকা ক্যান্টনম্যান্ট, গুলশান ও মহাখালীর মাঝে অবস্থিত অভিজাত বনানী। এ এলাকায় রয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে, রেলপথ, প্রচুর মেগামল, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। বনানী বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে অনেক নামী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে। রয়েছে নামীদামী অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লেক, পার্ক, বসবাসের জন্য আরামদায়ক ভবন ও পরিবেশ।
স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময় থেকে ধানমন্ডি ঢাকার অভিজাত এলাকা সমূহের একটি। আকর্ষণীয় অ্যাপার্টমেন্ট ও ভবন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট ও নামীদামী সব শপিংমল রয়েছে ধানমন্ডিতে। তবে রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি ও কলাবাগান লেকের জন্য ধানমন্ডি ঢাকা শহরের মানুষের কাছে পছন্দের এক নাম ও স্থান।
স্বাধীনতার আগ থেকেই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অভিজাতদের বসবাস ছিল ইস্কাটনে। কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও মগবাজারের মত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মাঝেই অবস্থিত ইস্কাটন। এ এলাকা থেকে হাতিরঝিল খুবই কাছে। স্থানীয় মানুষ চাইলেই প্রতিদিন হাতিরঝিল যেতে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
ইস্কাটন থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত অভিজাত সেগুনবাগিচা। সেগুনবাগিচায় রয়েছে শিল্পকলা একাডেমি ও প্রেসক্লাবসহ গরুত্বপূর্ণ অনেক সরকারি অফিস। সেগুনবাচিার ঠিক পাশেই অবস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়। এ এলাকায় মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ১০-২০ তলা উঁচু উঁচু ভবন। সেগুনবাগিচার বড় আকর্ষণ হল রমনা পার্ক। শারীরিক কসরত ও প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা নগরীর অসংখ্য মানুষ আসেন এখানে। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য এ এলাকার প্রধান আকর্ষণ হল বায়তুল মুকাররম মসজিদ।
সুস্বাদু খাবারের জন্য অন্যতম বিখ্যাত অভিজাত এলাকা বেইলি রোড। চাপ, লুচি ও বিরিয়ানীসহ সবরকমের সুস্বাদু খাবার খেতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা এ এলাকায় ভিড় জমান ভোজনরসিক মানুষ। বেইলি রোডে রয়েছে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অফিসার্স ক্লাব, মহিলা সমিতি, সার্কিট হাউজ ও বিলাসবহুল শপিংমল। তবে বেইলি রোডের প্রধান আকর্ষণ হল রমযান মাসের ঐতিহ্যবাহী ইফতার।
বর্তমানে ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা হল পূর্বাচল। অত্যাধুনিক এ এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শপিংমল হচ্ছে। পূর্বাচলে চলাফেরার জন্য রয়েছে প্রশস্ত রাস্তা এবং বিনোদনের জন্য হচ্ছে লেক, পার্ক, রিসোর্ট ও বিনোদনকেন্দ্র। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার অবস্থানও পূর্বাচলেই। অভিজাত এ এলাকার খুব কাছেই রয়েছে রূপগঞ্জের জিন্দা পার্ক ও নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্ক।
রিডিম পূর্বাচল সিটি লিঃ (আরপিসিএল)একটি বিশ্বস্ত ল্যান্ড এবং ডেভেলপার কোম্পানি। পূর্বাচলে এ কোম্পানি আবাসিক ও বাণিজ্যিক জমি/প্লট বিক্রয় করে থাকে। আপনি যদি মনে করেন আগামীতে অভিজাত পূর্বাচলে হবে আপনার বসবাস তাহলে আজই যোগাযোগ করুন আরপিসিএলের সাথে এবং খুঁজে নিন পছন্দের জমি ও প্লট।
প্লট সম্পর্কে জানতে কল করুন